গয়নাগাটি এবং বাড়ির অন্যান্য যন্ত্রপাতির মত দামী সামগ্রী চুরির কথা শুনে থাকাটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ভেষজ উদ্ভিদ চুরির কথা ভাবাটা বেশ বিরল এবং কৌতুহলজনক।
তবে, হাস্যকর শোনালেও আদৌতে এই ধরনের চুরির ঘটনা সত্যিই ভারতের হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের বিভিন্ন অংশে ঘটছে। কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যে, মানুষ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ভেষজ এবং ওষুধ খুঁজছে। আর তুলসী (Basil) এমন একটি উদ্ভিদ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সেই আদিকাল থেকে বেশ জনপ্রিয়।
হিন্দি সংবাদপত্র দৈনিক জাগরণ-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, চণ্ডীগড়, ফরিদাবাদ, কার্নাল, হিসার এবং গুরুগ্রামে তুলসী গাছ চুরি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগে, মানুষ তাদের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তুলসী পাতা নিয়ে তাদের কাজ পরিচালনা করত, কিন্তু এখন পুরো তুলসী গাছই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, লোকজন তাদের প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে তুলসী গাছ তুলে নিয়ে যেতে শুরু করেছে।
আরো পড়ুনঃ “দোকানদার ছাড়া দোকান” বিশ্বাসের উপর চলে মিজোরাম রাজ্যের এই দোকানগুলো
এমনকি প্রচণ্ড চাহিদার কথা মাথায় রেখে নার্সারিগুলি থেকেও তুলসী গাছ খালি হয়ে যাচ্ছে। নার্সারিতে উদ্ভিদের দাম ছাড়াও খুচরা বিক্রেতারা তুলসী পাতার দাম ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫০ টাকা করেছে।
উল্লেখ্য, প্রাচীনকাল থেকেই তুলসীকে ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে মান্য করা হয়। সর্দি এবং কাশি সহ বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে এই উদ্ভিদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। এছাড়াও হিন্দুধর্মে তুলসীকে দেবী লক্ষ্মীর অবতার হিসেবে দেখা হয়। অধিকাংশ গ্রামীণ বাড়িতে পূজার জন্য উঠোনে একটি করে তুলসী গাছ লাগানো হয়।