শুক্রবার (স্থানীয় সময়) রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে জানান যে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র চীনা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ TikTok নিষিদ্ধ করবে।
“টিকটকের ক্ষেত্রে আমরা তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিষিদ্ধ করছি। হ্যাঁ, আমার সেই কর্তৃত্ব আছে। আমি এটা এক্সিকিউটিভ অর্ডার দিয়ে করতে পারি,” এয়ার ফোর্স ওয়ানে উড়ে যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন। স্পুটনিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিরাপত্তার ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা মালিকানাধীন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার জন্য ট্রাম্প “শনিবার” -এর মধ্যেই কাজ করবেন।
বিমানে ওঠার আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র চীনা কোম্পানি বাইট ডান্সের মালিকানাধীন টিকটককে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে। জুন মাসে জানা যায় যে, টিকটক ব্যবহারকারীরা ট্রাম্পের সমাবেশের টিকেট নিবন্ধন করে ট্রাম্পের তুলসা র্যালিতে অন্তর্ঘাত করেছে এবং তারা আসেনি। যদিও ট্রাম্প গর্ব করে বলেছিলেন যে র্যালিতে ১,০০,০০০ এর বেশী সমর্থক আসবে, কিন্তু ১৯,২০০ আসন বিশিষ্ট ওই র্যালি মাঠে ৬,২০০ জনেরও কম লোক উপস্থিত হয়।
এর আগে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন গোপনীয়তা উদ্বেগের কারণে TikTok অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে। মার্কিন রাজনীতিবিদরা বারবার জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বেইজিং ভিত্তিক স্টার্টআপ বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটকের সমালোচনা করে আসছে।
চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র হংকং জাতীয় নিরাপত্তা আইন, দক্ষিণ চীন সাগর, করোনাভাইরাস এবং বাণিজ্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। জুন মাসে ভারত দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার হুমকির কথা মাথায় রেখে টিকটক, উইচ্যাট এবং হেলো সহ ৫৯টি চীনা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিষিদ্ধ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ভারতের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছে।