মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ছয় হাজার ২০০ কোটি ডলারের বিশাল এক অস্ত্র চুক্তি করেছে তাইওয়ান। যা তাইপে ও ওয়াশিংটনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অস্ত্র চুক্তি।
নতুন এই চুক্তির কারণে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নতুন এই অস্ত্র চুক্তির আওতায় তাইওয়ানের কাছে ৯০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১০ বছর ধরে তাইওয়ান এসব বিমান হাতে পাবে।
আজ শুক্রবার (১৫ই আগস্ট) তাইপের সঙ্গে বিশাল এই চুক্তির কথা উল্লেখ করে ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তাইওয়ানকে যেসব বিমান দেওয়া হবে তা হবে এফ-১৬ প্রযুক্তির সর্বাধুনিক ভার্সন।
এই চুক্তির ব্যাপারে জানার পর চীন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে হুশিয়ারি দিয়েছে। তাইওয়ানকে এসব বিমান সরবরাহ করলে তার কঠিন পরিণতি যুক্তরাষ্ট্রকে ভোগ করতে হবে।
এদিকে গতবছরই তাইওয়ানকে ৬৬টি এফ-১৬ সরবরাহ করার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেসময়ও তুমুল আপত্তি জানিয়েছিল বেইজিং।
১৯৯২ সালে তাইওয়ানকে প্রথম যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীন সবসময় বলে আসছে তাওয়ান তার নিজের ভূখণ্ড এবং তাইপেকে আলাদা করে অস্ত্র সরবরাহ করা এক চীন নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। তাইওয়ানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র চুক্তি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলেই মনে করে বেইজিং।
তাইওয়ান নিজেদেরকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে দাবি করলেও চীন এখনও তাদের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়নি। বরং তাইওয়ানকে তারা তাদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলেই মনে করে এবং বলপ্রয়োগ করে হলেও একদিন অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে।