শান্তারাম বুদনা সিদ্দি, আরও চারজন সহ, বুধবার গভর্নর ভাজুভাই ভালা দ্বারা কর্ণাটক আইন পরিষদে মনোনীত হন। সিদ্দির নিয়োগ নিয়ে কৌতূহলজনক বিষয় হচ্ছে তিনি কর্ণাটকের সিদ্দি সম্প্রদায়ের প্রথম আইনপ্রণেতা, যাদের শিকড় আফ্রিকায় চিহ্নিত করে।
শান্তারাম আরএসএসের আদিবাসী কল্যাণ উদ্যোগ ভানাভাসি কল্যাণ আশ্রমের রাজ্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি উত্তর কান্নাডা জেলার বাসিন্দা এবং এছাড়াও তার সম্প্রদায় থেকে প্রথম স্নাতক ব্যক্তি।
সিদ্দি সম্প্রদায়দের বিশ্বাস করা হয় যে তাদের শিকড় আফ্রিকার মোজাম্বিক বা কেনিয়ার কোথাও ফিরে যায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পর্তুগীজরা তার সম্প্রদায়ের সদস্যদের ক্রীতদাস হিসেবে ভারতে নিয়ে এসেছিল। পর্তুগীজরা ভারত ত্যাগ করার পর, সম্প্রদায়টি পশ্চিম ঘাটের গভীর জঙ্গলে আশ্রয় নেয়।
শান্তারাম সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমাদের শুধুমাত্র মুম্বাই, গোয়া এবং কর্ণাটকের পশ্চিম ঘাটে পাওয়া যায়।”
তিনি বলেন তার সম্প্রদায়ের মানুষ একটি অনন্য ভাষায় কথা বলে- একটি কোঙ্কনি-মারাঠি মিশ্রণ। শান্তারাম তার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে খুশি এবং বলেছেন যে পোস্টটি তার জন্যে বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এসেছে।
আরো পড়ুনঃ ধর্ষিত – লাঞ্ছিত নারীদের এই গ্রামে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ
শান্তারাম বলেন, “আমি একা সিদ্দি সম্প্রদায়ের কথা ভাবছি না, আমি রাজ্যের সমগ্র আদিবাসী সম্প্রদায় নিয়ে সমানভাবে উদ্বিগ্ন।”
“ধাঙ্গার গাওলি, কুনবি, হালাক্কি ভোক্কালিগার মতো অনেক সম্প্রদায় আছে… সবাই উপজাতিদের মত বাস করে কিন্তু উপজাতি হিসেবে নির্ধারিত নয়। রাজ্যের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে আমাদের দাবি হবে যে তাদেরও যেন আদিবাসী হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়,” শান্তারাম আরও বলেন।