ভারত ও তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডোজ কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন উত্পাদন ও সরবরাহ প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন‘ এর প্রতিষ্ঠান ‘গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স’ এর সাথে একটি নতুন অংশীদারিত্ব করেছ ভারতের পুণে-ভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)।
শুক্রবার সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী এবং মালিক আদার পুনাওয়ালা টুইট করে এই তথ্য জানান।
তিনি লিখেন, “আমি ১০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন ও সরবরাহের ঝুঁকিসমূহ ভাগ করে নেওয়ার মূল অংশীদারিত্বের জন্য বিলগেটস, গেটস ফাউন্ডেশন এবং গ্যাভিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই ডোজগুলো বিশ্বের অনেক দেশেই সাশ্রয়ী মূল্যের দামে ভ্যাকসিন পাওয়ার অ্যাক্সেস নিশ্চিত করবে।”
দেশের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক — ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) এর আগে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের জন্য সিরাম ইনস্টিটিউটকে দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং তৃতীয় পর্যায়ের মানবিক ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছে।
বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন তার কৌশলগত বিনিয়োগ তহবিলের মাধ্যমে গাভিকে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঝুঁকিপূর্ণ তহবিল সরবরাহ করবে, যা এরপরে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রার্থী প্রস্তুত করতে সিরাম ইনস্টিটিউটকে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে।
সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত এই ভ্যাকসিন কমপক্ষে ৯২টি দেশে সরবরাহ করা হবে।
একটি বিবৃতি সংস্থাটি জানায়, এই তহবিলটি অ্যাস্ট্রাজেনিকা এবং নোভাভ্যাক্সের তৈরি ভ্যাকসিনগুলি উৎপাদনের জন্য সিরাম ইনস্টিটিউটের সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে। জানা যায়, এই ভ্যাকসিনগুলি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর সম্পূর্ণ লাইসেন্স প্রাপ্তিতে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক যোগ্যতা পরীক্ষায় সফল হলে এর উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হবে।”
উল্লেখ্য ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত সংখ্যা ২০ লাখ পার করে এবং আজ শুক্রবার ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় ৬২,৫৩৮ জনের সংক্রমণ শনাক্তের মধ্য দিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার রেকর্ড করে।
আজ শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২৭ হাজার ৭৫ জনে। যাদের মধ্যে সক্রিয় কেস রয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৭ হাজার ৩৮৪ এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ১০৬ জন। আর দেশটিতে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪১ হাজার ৫৮৫ জন মানুষ।