আন্তর্জাতিক সংশয় সত্ত্বেও ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দিয়েছেন যে তার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশ্বের প্রথম কোভিড-১৯ টীকা চালু করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এর পরপরই ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তে এই রাশিয়ান করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দিয়ে “জনসম্মুখে ইনজেকশন” দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
দুতের্তে ঘোষণা করেছেন যে তিনি এই টিকার উপর অনেক বিশ্বাস করেন যে, এটি “সত্যিই মানবজাতির জন্য ভালো” হবে, যদিও ভাইরোলজিস্ট এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ম্যানিলায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত গত সপ্তাহে বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার ফিলিপাইনে এই টিকা সরবরাহ করতে আগ্রহী হবে।
রাশিয়া অক্টোবরের শুরুতে মস্কোর গামালিয়া সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি দ্বারা বিকশিত এই টিকা দিয়ে জনগণকে ইনকুলেট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পুতিন মঙ্গলবার বলেন যে এই ভ্যাকসিনগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রক অনুমোদন পেয়েছে এবং শীঘ্রই গণ উৎপাদনে প্রবেশ করবে। তিনি দাবি করেন যে তার মেয়ের উপর এই টিকা পরীক্ষা করা হয়েছে।
কিন্তু এই পরীক্ষার কেবল কিছু বিবরণ জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়েছে এবং কোন ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি, যা উদ্বেগে ইন্ধন জোগাচ্ছে যে রাশিয়া বিশ্বের প্রথম কোভিড-১৯ টিকা উন্মোচনের মর্যাদা খুঁজছে।