গত বছর কাশ্মীরকে তার বিশেষ মর্যাদার অধিকার থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রথম বর্ষপূর্তি ৫ আগস্টের আগে বিক্ষোভের আশঙ্কায় ভারতের শাসিত কাশ্মীরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এই কারফিউ আজ ৪ আগস্ট ও আগামীকাল ৫ আগস্ট পর্যন্ত জারি থাকবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত ৫ আগস্টকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী ও পাকিস্তানের মদদ পুষ্ট কিছু গোষ্ঠী এইদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে। এতে সহিংস বিক্ষোভ সংগঠিত হওয়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে। এ কারণে পুরো কাশ্মীর উপত্যকায় কারফিউ জারির কথা জানান শ্রীনগরের ম্যাজিস্ট্রেট।
কর্মকর্তারা বলেছিলেন কোভিড -১৯ এর কারণে কোনও প্রকার গণ সমাবেশ এখন নিষিদ্ধ।
খবরে বলা হয়েছে, বার্ষিকীর আগে এই অঞ্চলে উত্তেজনা রয়েছে এবং ইতোমধ্যে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
শ্রীনগরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে অপরিহার্য স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা কারফিউর মধ্যেও চলাচল করতে পারবেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার।
জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে কেড়ে নেওয়া হয় পৃথক রাজ্যের মর্যাদা এবং আধা স্বায়ত্ত্বশাসনের অধিকার।
বিলুপ্ত রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত করা হয়। বর্তমানে এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিচালনা করছেন দুই লেফটেন্যান্ট গভর্নর।
বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর অনেক দিন ধরেই অবরুদ্ধ ছিল কাশ্মীর। এ সময় এ অঞ্চলে প্রতিবাদকারী এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত ভারতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একমাত্র রাজ্য হলো জম্মু-কাশ্মীর।
কয়েক দশক ধরে সেখানে ভারত বিরোধী বিক্ষোভ সংঘঠিত হয়ে আসছে। বারবার সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসী হামলার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে দেখা হয় এই অঞ্চলকে।
যার ফলে উচ্চ মাত্রায় সামরিকীকরণ করা হয়েছে সেখানে।
ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশই কাশ্মীরের পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।
কিন্তু তারা এর মাত্র অংশবিশেষে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দুটি যুদ্ধ করেছে পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী।
পারমাণবিক-সজ্জিত দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দুটি যুদ্ধ করেছে, সাম্প্রতিককালে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই অঞ্চলটিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালানো হয়েছিল।