উত্তর কোরিয়ার নেতা ও শাসক কিম জং-উন কোমায় রয়েছেন বলে জানা গেছে এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে তার ছোট বোন কিম ইয়ো-জং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিতে যাচ্ছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি কিম ডায়ে-জাংয়ের প্রাক্তন সহযোগীর বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে এনেছে।
চ্যাং সোং-মিন, যিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত কিম দা-জাংয়ের অধীনে রাজনৈতিক বিষয়ক সেক্রেটারি এবং রাজ্য বিষয়ক তদারকি অফিসের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করেছেন যে উত্তর কোরিয়ার কোনও নেতা তার কর্তৃত্বের কোনও অংশ অন্য ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করবেন না যদি না তিনি ছিলেন শাসনের পক্ষে খুব অসুস্থ হন বা কোনো অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়।
চ্যাং সোং মিনের বরাত দিয়ে কোরিয়া হেরাল্ড বলেছে, কিম কোমায় রয়েছেন তবে তার জীবনের অবসান ঘটেনি।
“একটি সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার কাঠামো গঠন করা হয়নি, তাই কিম ইয়ো-জংকে সামনে আনা হচ্ছে কারণ দীর্ঘকাল ধরে শূন্যতা বজায় রাখা যায় না।”
চ্যাং জানিয়েছেন, কিমের কোমায় থাকার তথ্যটি তিনি চীনের একটি সুত্র থেকে জানতে পেরেছেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা দাবি করেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী কিম জং-উন নিজের ওপর দায়িত্বের চাপ কমাতে তার বোন ও অন্যান্যদের ওপর বেশকিছু নীতি-নির্ধারণী দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। এর মাত্র কয়েকদিনের মাথাতেই কিমের গুরুতর শারীরিক পরিস্থিতির গুঞ্জন শোনা গেল।
কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো-জং এখন প্রকৃতপক্ষে দেশটির ‘দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি’ বলেই ধারণা দক্ষিণের গোয়েন্দা সংস্থার।
অবশ্য কিমের অসুস্থতা কিংবা মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর বিষয়টি নতুন নয়। এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে গত এপ্রিল মাসে দীর্ঘদিন ধরে ,তাকে জনসম্মুখে না দেখায় তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরবর্তীতে গুজবের অবসান ঘটিয়ে দেশটিতে একটি সার কারখানা উদ্বোধনের সময় প্রকাশ্যে আসেন তিনি।