কিশোর জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ব্রাজিলিয়ান অ্যামাজনের আদিবাসীদের মধ্যে করোনাভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ১.১৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এই সপ্তাহে থুনবার্গ তার পরিবেশবাদী পদক্ষেপ এর জন্য পর্তুগালের ক্যালোস্টে গুলবেনকিয়ান ফাউন্ডেশন এর কাছ থেকে গুলবেনকিয়ান প্রাইজ ফর হিউম্যানিটি জিতেছেন।
টুইটারের এক ভিডিওতে দেখা যায় তিনি বলছেন, প্রাইজের টাকাটা তাঁর কল্পনার চেয়েও বেশি। তাই তিনি টাকাটা দান করে দিচ্ছেন।
থুনবার্গ তার বেনামে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বলেছিলেন যে তিনি এসওএস অ্যামেজোনিয়া নামে একটি পরিবেশ সংগঠনকে বেনিফিটের জন্য ১১৪,০০০ ডলার অনুদান দেবেন যা মৌলিক স্বাস্থ্যকরতা, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সরঞ্জামের সরবরাহের মাধ্যমে অ্যামাজনের আদিবাসী অঞ্চলে মহামারী মোকাবেলায় সাহায্য করবে।
সিএনএন জানিয়েছে, ১৭-বছর বয়সী সুইড ‘স্টপ ইকোসাইড ফাউন্ডেশনে’ আরও ১১৪,০০০ মার্কিন ডলারও অনুদান দেবেন। উল্লেখ্য এই ফাউন্ডেশন এর প্রধান লক্ষ্য বাস্তুসংস্থান বা পরিবেশ ধ্বংস করাকে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে ঘোষিত করা।
থুনবার্গ তার তার টুইটার একাউন্টে টুইটে বলেছেন, তিনি তার পুরস্কারের অর্থের বাকী অংশ তার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দান করবেন যা “জলবায়ু সংকট এবং বিশেষত বিশ্ব দক্ষিণে বাস্তুসংস্থার সংকট দ্বারা প্রভাবিত প্রথম সারির লোকদের সহায়তা করে।”
“জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তরুণ প্রজন্মকে একত্রিত করার দক্ষতার কারণেই ফাউন্ডেশনটির প্রথম বার্ষিক পুরষ্কারের জন্য ৪৬ টি দেশ থেকে ১৩৬ জন মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে থুনবার্গকে নির্বাচিত করা হয়েছিল।”বিজয়ীর ঘোষণা দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজের চেয়ারপার্সন জর্জ সাম্পাও।
গত মে মাসে থানবার্গ তার পরিবেশবাদী সক্রিয়তার কারণে পৃথক আরেকটি পুরষ্কার পেয়েছিলেন যা কোভিড-১৯ মহামারী থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য তিনি তার পুরস্কারের সমস্ত টাকা $১০০,০০০ মার্কিন ডলার ইউনিসেফকে দান করেছিলেন।
পরবর্তীতে তাকে পুরস্কৃত করা দাতব্য সংস্থা ডেনমার্কের হিউম্যান অ্যাক্ট ফাউন্ডেশন তার অনুদানের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে মহামারীকালীন শিশুদের কল্যাণ রক্ষার জন্য একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে।
১৫ বছর বয়সে প্রথমবার থুনবার্গ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি তিনি হাজার হাজার তরুণ কিশোর কিশোরীকে একত্র করেছেন শুক্রবার স্কুল না গিয়ে জলবায়ু দুর্যোগের সচেতনতায় বিক্ষোভে অংশ নিতে।
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে তিনি শূন্য-কার্বন-নির্গমন নৌকায় আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের জলবায়ু অ্যাকশন সামিটে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন।