ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বুধবার বিতর্কিত চীনা কোম্পানি টিকটকের বিকল্প হিসেবে ইনস্টাগ্রামে একটি ছোট ভিডিও আপলোড দেয়ার নতুন ফিচার ইনস্টাগ্রাম রিলস নিয়ে আসার পরই বৃহস্পতিবার ফেসবুকের শেয়ারের দাম ৬% এরও বেশি বেড়ে যায়।
ফেসবুকের এই প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ তার কোম্পানির ১৩% অংশের মালিক।
শত বিলিয়ন ডলারের মালিকানার মধ্য দিয়ে তিনি অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং মাইক্রোসফ্টের বিল গেটসদের সাথে ‘সেন্টিবিলিয়নেয়ার ক্লাবে’ যুক্ত হলেন।
করোনাকালীন সময়ে বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ অফিস আদালত ও পরিষেবা বন্ধ থাকায় অনলাইন মুখি হয়েছে পুরো বিশ্ব। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা তাদের কোম্পানির আকার ও শক্তি ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে।
করোনা ভাইরাস লকডাউন ও বিধিনিষেধ এর ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে ফেসবুক, অ্যামাজন, অ্যাপল এবং গুগল এর মতো সংস্থা গুলো। কেননা লকডাউনের ফলে লোকজন অনলাইনেই কেনাকাটা, বিনোদন এবং সামাজিকীকরণের মতো কাজগুলো করতে বাধ্য হচ্ছে।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে, মিঃ জাকারবার্গের ব্যক্তিগত সম্পদ এ বছর প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং মিঃ বেজোস এর পরিমাণ $৭৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বেড়েছে।
করোনা মহামারিকালে জাকারবার্গের এই সম্পদ বাড়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে। ইনস্টাগ্রাম রিলস চালুর পাশাপাশি সম্প্রতি কংগ্রেসে অ্যান্টিট্রাস্ট শুনানি নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।
তবে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ভুয়া খবর ও ঘৃণ্য মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক। মার্কিন অনেক প্রতিষ্ঠানই ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে সরে এসেছিল। তবে খুব বেশি প্রভাব পড়েছে বলে মনে হয়নি ফেসবুকের।
এদিকে অফিস কর্মীদেরও বিশেষ সুবিধা দিতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ফেসবুক ঘোষণা করেছিল যে আগামী বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত তাদের কর্মীরা বাড়ি বসে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া বাড়ি থেকে কাজের জন্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে প্রত্যেক কর্মীকে এক হাজার ডলার করে দিয়েছিল ফেসবুক।
মার্ক জাকারবার্গ এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাঁর মোট সম্পদের ৯৯ শতাংশ তিনি দান করে যাবেন।