সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক টেক জায়ান্ট অ্যাপল এবং গুগলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনকে তাদের অনলাইন মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এর আগেও কখনওই মানচিত্রে প্রথম স্থানে লেবেল করা হয়নি।
অ্যাপল ম্যাপ এবং গুগল ম্যাপে প্যালেস্তাইন সার্চ করলে গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীর অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি রূপরেখা দেখানো হয়, তবে প্যালেস্তাইনের জন্য কোনও লেবেল সেখানে নেই।
বুধবার “আস্তাগফিরুল্লাহ” নামে একজন ব্যবহারকারীর একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে “অফিসিয়ালি” সরানো হয়েছে বলে জায়ান্ট এই দুই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
পরবর্তীতে পোস্ট এডিট করে তারা যুক্ত করে যে, এই পোস্টে “মিথ্যা তথ্য” রয়েছে। ফিলিস্তিন কখনওই ম্যাপে যুক্ত ছিল না।
তবে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফরমেও এই অভিযোগতিকে দাবি করে পোস্ট করা হতে থাকে। সেসব পোস্টে ফিলিস্তিনের সমর্থকরা অভিযোগ করেন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুলো ইসরায়েলের আগ্রাসনকে সমর্থন দিচ্ছে।
ফিলিস্তিন জাতিসংঘ এবং এর ১৩৬ টি সদস্য দেশের দ্বারা স্বাধীন স্বীকৃতি পেলেও যুক্তরাষ্ট্র কখনওই স্বীকৃতি দেয়নি।
গুগল এই অভিযোগ সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি, তবে বিতর্কিত সীমানার বিষয়ে তাদের ওয়েবসাইটের একটি ব্লগে বলেছে: “বিতর্কিত সীমানাগুলিকে তারা একটি ধূসর রেখা দিয়ে প্রদর্শিত করে।”
ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর, গাজা ফালা এবং গোলান হাইটগুলি দখল করে নিয়েছিল। তবে ২০০৫ সালে ইসরায়েল দৃঢ় ভাবে জানায় যে তারা আর গাজা দখল করবে না।
কিন্তু তবে উপকূলীয় অঞ্চলের আকাশসীমা ও সীমান্তগুলিতে যেভাবে ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ বজায় রয়েছে তাই গাজাকে এখনও পর্যন্ৎ দখলকৃত ভূমি হিসাবেই শ্রেণিবদ্ধ করে জাতিসংঘ।
পর্যবেক্ষণ দলগুলি বলছে যে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ বলে বিবেচিত হলেও পশ্চিম তীরে ১৩০ টিরও বেশি ইস্রায়েলি বসতি রয়েছে।
অভিযোগ এবারই প্রথম নয়!
গুগলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের নামটি তাদের জনপ্রিয় মানচিত্র পরিষেবা থেকে সরানোর অভিযোগ এবারই প্রথমবার নয়।
২০১৬ সালে চেঞ্জ ডট কমের একটি পিটিশনে আবি করা হয়েছিল “ইসরায়েলি সরকারের প্ররোচনায়” গুগল ম্যাপ থেকে ফিলিস্তিনের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয় গুগলের দুইজন ইহুদী প্রতিষ্ঠাতার ইসরায়েলের নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
‘গুগল: আপনার মানচিত্রে প্যালেস্তাইন রাখুন!’ পিটিশনটি এখনও সক্রিয় রয়েছে এবং আজ অবধি ৮ লাখ এরও বেশি মানুষ এটাতে স্বাক্ষর দিয়েছে।