অবশেষে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া । জনগণের উদ্দেশ্যে দেয়া রাষ্ট্রীয় ভাষণে উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো গত মার্চের শেষের দিকে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি কর্মকর্তারা দেশে কোনো করোনা রোগী নেই বলে দাবি করে আসছিলেন।
শুক্রবার রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, গত চার মাসে বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর এই প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কথা স্বীকার করল পিয়ংইয়ং।
এর আগে করোনার সংক্রমণ বন্ধে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে চীন ফেরত এক সরকারি কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছিল উত্তর কোরিয়া। তার কিছু দিন পরই ঘোষণা আসে, উত্তর কোরিয়ায় করোনা সংক্রমণমুক্ত।
তবে এতদিন ধরে অস্বীকার করে এলেও এবার বিভিন্ন সংস্থা এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর পর্যবেক্ষণকারী গ্রুপ গুলোর এক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়ায় করোনা সংক্রমণের তথ্য নিশ্চিত করেন। এতে তারা বলেন, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তবে দেশটিতে কতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বা হতাহতের অবস্থা কি সে ব্যাপারে কিছুই বলেননি এই কর্মকর্তারা।
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং এবং হুয়াঙহায় প্রদেশ পৃথক দুটি জায়গায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছে বলে জানায় রেডিও ফ্রি এশিয়া।
তবে বক্তারা বলেছেন, পিইয়ংইয়ং এবং নর্থ হ্যামজিওং প্রদেশে করোনা সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পরপরই প্রতিবেশি এই দেশটি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। করোনার বিস্তার ঠেকাতে ব্যাপক বিধি-নিষেধ আরোপের পাশাপাশি করোনা সংক্রমিত দেশগুলোর থেকে আসা বিদেশিদের জন্য ৩০ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করে উত্তর কোরিয়া।
এমনকি মার্চের শুরুর দিকে বিভিন্ন দেশের কয়েক ডজন কূটনীতিককে উত্তর কোরিয়া থেকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
শনিবার দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ বলছে, বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সরকার। এছাড়া দেশটিতে করোনাভাইরাস ঢুকে পড়ার কোনো শঙ্কা আছে কিনা সেবিষয়ে নজরদারি অব্যাহত আছে।
সারা বিশ্বের আরো সংবাদ পড়ুনঃ সারাবিশ্ব
Comments ০