সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় অব্যাহত সাহায্য-সহায়তার জন্য বাংলাদেশের অন্যতম মূল্যবান অংশীদার উল্লেখ করে চীনের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি গণ চীনের ৭১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে এক অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় তিনি চীন সরকার ও চীনের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন ও উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি’র বাংলাদেশ সফর এবং ২০১৯ সালে তাঁর চীন সফরের স্মৃতিচারণা করেন।
চীন বাংলাদেশ সম্পর্কের পুরো সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আরও সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধ্যানের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট শি’র সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সুখের পাশাপাশি চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের শান্তি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
চীনা দূতাবাস সুত্রে জানা যায় শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংকেও অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
উক্ত বার্তায় তিনি দু-দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, মূল্যবোধ, জাতীয় স্বার্থ এবং পারস্পরিক সম্মানের বিষয়টিকে জোর দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা দুই দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যেকার ২০১৬ সালের সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরেন।
এছাড়াও তিনি তাঁর ২০১৯ সালের চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, উভয় দেশই বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌছেছিল।
চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো উভয় বার্তায় চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে বাংলাদেশের জন্য চীনের সহায়তার প্রশংসা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে উভয় দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সন্ধানের মাধ্যমে দু দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে পারে।
তিনি চীনা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং সে দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন।