পশ্চিম এশিয়ার লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতের চেন্নাই বন্দরে মজুত থাকা ৬৯০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট অবশেষে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নিলাম হওয়ার পর কাভার্ড ভ্যানে করে এগুলোকে ক্রমান্বয়ে হায়দ্রাবাদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে।
২০১৫ সালে চেন্নাই বন্দরে কাস্টম আইন ১৯৬২ ধারা অনুযায়ী আটক করা হয়েছিল ৬৯৭ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বিশাল এক চালান।
সাধারণত আতশবাজি ও রাসায়নিক সার তৈরিতে এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট কাচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
তখন থেকেই এগুলো চেন্নাই থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের ফ্রেইট স্টেশনে মজুদ করা ছিল। অবশেষে বৈরুত বিস্ফোরণের ভয়াবহতা দেখার পর সেগুলো সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
তামিলনাড়ু প্রদেশের এক আমদানিকারক দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট অবৈধভাবে আমদানি করেছিলেন। এটি বিস্ফোরক গ্রেডের হলেও একে সারদ্রব্য গ্রেডের বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জন্য সেখানে মজুত থাকা ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটকে দায়ী করা হচ্ছে।
আর সেই ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী ঘটনার পর পরই চেন্নাইয়ে মজুত থাকা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে জনমনে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিপজ্জনক এই রাসায়নিক দ্রব্য দ্রুত সরিয়ে নিতে অনলাইনে নিলাম হয়। নিলামের পর ৬৯০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট হায়দ্রাবাদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।